এ চত্বরে আসা হয়ে ওঠেনি বহুদিন। হঠাত মনে পড়ে গেল। গোয়েন্দা গল্প বলে একটা সিরিজ লেখা হয়েছে কিছুদিন হল, বই হয়ে বেরোবে ২০১৭ কলকাতা বইমেলায়। তার থেকেই একটু একটু করে...
---সব্যসাচী
৪।
---সব্যসাচী
৪।
অনেক রাতের ট্রেন থেকে নেমে পড়ছে সে। ইন্দ্রিয়ের মত। বস্তুর মত। গোয়েন্দা অনুসরণ করছেন তাকে। বালির বস্তার মধ্য দিয়ে, মৃদু
ট্রেঞ্চের মধ্য দিয়ে, অন্ধকারে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ির জানলা
দিয়ে ফেলে দেয়া কুচিকুচি চিঠির মধ্য দিয়ে বেমানান হয়ে উঠছে তার ফেরা। গোয়েন্দা অনুসরণ করছেন তার ফেরাটুকু—যেন-বা কোথাও কারো যাওয়ার ছিল না।
৫।
গোয়েন্দা গভীর। তাঁর পায়ের কোন
শব্দ হয় না। তিনি খিচুড়ির প্লেটে ভাজা মাছটির উল্টোদিক থেকে চেঁছে নেন খিচুড়ির
কণা, সময়, দেশি মদের দোকান। গোয়েন্দা গভীর। তিনি পূর্বপুরুষের পায়ের আওয়াজ টের পান। গোয়েন্দা জানেন, গভীরতা
মানুষকে সংকুচিত করে আকারে, আকাঙ্ক্ষায়। ফলে একশো চল্লিশ বর্ণের ট্যুইটারও তাঁর
গায়ে ঢলঢল করে। ভাজা মাছের থেকে সরে ঢুকে পড়েন তিনি শুকনো লঙ্কায়, তেজপাতায়, দানা
দানা মালকামুসুরে। চোখে চশমা তুলে নেন। নোটবুকে মাছের দাম টোকেন। প্লেট থেকে তিতপুঁটি
ঝাঁপ দ্যায় জলে।
৬।
যতই এড়িয়ে যেতে চান, সূত্র গোয়েন্দাকে ছেড়ে উঠছে না। শেষমেষ যোগাযোগ একটা হয়েই যায়, অপরাধের সাথে, আলু পটলের ডালনার সাথেও একটা যোগাযোগ…। জিরে আদাবাটার ভেতর দিয়ে কামের মধ্য
দিয়ে হাতের তারে অন্তরা টপকে যাওয়া একটানা
একটা স্তব্ধতা
মানুষকে পেয়ে বসতে চায়—ক্রিয়ার থেকে
কর্ম খসে গেলেও সে আর কিছু না হোক গ্যারোটি হয়েই মানুষের গলার দাগে ঢুকে যেতে চায়…যোগাযোগ হয়েই থেকে যেতে চায়।
No comments:
Post a Comment