শৃগাল অর্থাৎ শিয়াল অনেক ধরণের
হয় যথা; খ্যাঁকশিয়াল, ভুঁড়োশিয়াল ও কমারশিয়াল। অবশ্য পারশিয়াল বলিয়া এক প্রজাতির
শিয়াল কমারশিয়ালকে শিয়াল জাতির অন্তর্ভূক্ত বলিয়া গণ্য করেন না।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
Wednesday, October 14, 2015
ছেঁদো কথা -২
মানে বোলছিলম কী, মৌলিক বিসোয়
না থাকলে মৌলিক বিস তো আছে! আর্সেনিক, ওই যে চুহা-ফুহা মারে! তা আমার বিসোয়বুদ্ধি
বোলে—বিসোয় না থাকলে বিস পিয়ে লিন। রোবি
বাবু জেনে সুনে পিয়ে নিলেন, তার পোর তার বিসোয়ও হোলো নোবেলও হোলো, আর বিসের এফেক্ট
দেখেন—রোঞ্জন বাবু তো ছত্তিস জেনারেসান বাদ
ভী ওহি চুসে চুসে ঢের সারা বিসোয় পেলেন। আরে সোক্রাত সাহিব-এর কোথাই ধোরেন না!
রোবি ঠাকুর তো উনার পাস থেকেই সিক্সা নিয়েছিলেন। সোক্রাত সাহিব হেমলোক পিলেন আর
পোরের জোন্মে সাইলক হোয়ে ভেনিসে বোসে সুদের কারবার কোরে মালামাল হোয়ে গেলেন! ইসব
সেক্সপীয়ারে আছে! আরে মোসাই সুধু এই সোব না। সেক্স আর পেয়ার ও আছে। ভালো বই, দেখে
লিবেন!
কিছু শোনা, বাকী বোনা
পরামাণিকের পো, যারে কয়
স্বভাব-কবি। ছুতোরকে দেখলে এই বলল-- “ওরে ও ভাই
ছুতোর/ তোর কিসের চাপান উতোর”, তো ওই রোগা
কামারকে দেখে ফুট কাটলো-- “সোনাই পোনাই কামার/ হাপর কি
তোর মামার?/ক্যাংটা হাতে পেটাস লোহা/ শব্দ বেরোয় তামার”।
পাড়ার গয়লা কালো, কবি না হলেও
কবিতা পড়ে, প্রিয় কবি শ্রী শ্রী অবোধ সরকার। একদিন, তাকেও পরামাণিকের পো দিয়ে বসল
খোটা—“মিশকালো গয়লা, গায়ে বড় ময়লা”।
গয়লা তো ক্ষেপে যাকে বলে ক্ষীণ! সেও গলা কাঁপিয়ে রিটালিয়েট করল –“নাপিতের
পোঙ্গায় ডান্ডা”! পরামাণিক তো হেসে খুন, বলে – “মিললো
না তো”। গয়লা বললো—“তাতে
কী? লাগলো তো?”
ছেঁদো কথা-১
অতঃপর কবির রোমহর্ষক সাক্ষাৎকার পড়িতে
পড়িতে পানু সিংহের সাহারায় শিহরন জাগিল। বগল ছম ছম করিয়া উঠিল।পানু সিংহ হতবাক দেখিতে
লাগিলেন তাঁহার অন্তঃস্থলে নানা বিচিত্র আবেগসকলের স্বয়ংক্রিয় প্রস্ফুটন। এই ধাঁইধাঁই
করিয়া চক্ষে জল আসিল, তো করতল অশ্রুনিবারণহেতু চক্ষের নিকটে আনিবা মাত্র, সে অশ্রু
ভীমবেগে ব্লাডারের দরজায় ঘা দিয়া ঝাঁপতালে গাহিয়া উঠিল —“খোল খোল দ্বার”।
আহা কবি যে স্থানে বর্ণনা করিতেছেন—উদভ্রান্ত সেই
আদিম যুগে স্রষ্টা যখন পুলিশ কমিশনারের বাসায় আসন পিড়ি হইয়া আলুর ছেচকি সহযোগে পাম
তেলে ভাজা নুচি খাহিতেছেন!-- অহো! হৃদয় হইতে কেঁউকেঁউ করিয়া উদ্গার উঠিয়া আসে! সে কী
দৃশ্য, সে কী বর্ণন! অহো আজ পানু সিংহ ধন্য, তাহার চার চোদ্দং ১৩২ জেনারেশান ধন্য!
Thursday, September 24, 2015
গোয়েন্দা গল্প-৪
গোয়েন্দা জানেন, অস্তিত্ব মানেই প্রমাণসাপেক্ষ হতেই হবে এমনটা নয়। গোয়েন্দা বোঝেন, বিভ্রান্তিই একমাত্র অনুমেয় পদ্ধতি। সুক্ষতার ভেতর যখন গুটিয়ে আসে সুক্ষতার ধারণাটুকু, স্থুল না হলে তাকে কেউ আর বুঝে উঠতে
পারবে না। গোয়েন্দা জানেন তাঁর আত্মজীবনীর
মধ্যে সুক্ষ সমস্ত অপমানের কথা লেখা থাকবে, উষ্ণ অসোয়াস্তি বা শীতল মরচে, সমস্ত
কথাই যথাস্থানে পৌঁছে দেয়ার বন্দোবস্ত থাকবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)