আঃ আইচঃ
প্রসিদ্ধ যন্ত্রণাবিদ শ্রী “ওমর দরদিয়ার” শিক্ষাগুরু হিসাবে পরিচিত হইলেও শ্রী আইচ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য ২০১২ পর্যন্ত লোকচক্ষুর অগোচর ছিল । ২০১৩ খ্রীস্টাব্দের একুশে জানুয়ারি “ডেড সী” অর্থাৎ মৃতসাগরের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া কেজিবি-র গোয়েন্দাদল এক পরিত্যক্ত কচ্ছপের খোল-এর আবিষ্কার করে, যাহার ভিতরে প্রাচীন আরামিক লিপিতে শ্রী আইচ-এর বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় । এই আবিষ্কার পৃথিবীতে এক আলোড়ন ফেলে । কচ্ছপ এক দীর্ঘজীবী বুদ্ধিমান জীব বলিয়া পরিচিত হইলেও উহারা যে লিপিজ্ঞান রাখেন, এই তথ্য জীববিজ্ঞানীকূলের স্বপ্নেরও বহির্ভূক্ত ছিল । উপরন্তু, তাহারা যে ঐতিহাসিকও বটে ইহা এক আশ্চর্য্য খবর । আরো আশ্চর্য্যের ব্যাপার হইল, কচ্ছপ সমাজে কলমের আবিষ্কার ও “অপোজেবল থাম্ব” ব্যতীত যন্ত্রব্যবহার ক্ষমতার নিদর্শন । এই আবিষ্কার শ্রদ্ধেয় ডারউইন সাহেবের বিবর্তনবাদ থিয়োরীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাইয়াছে । ফলতঃ বিবর্তনবাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিয়া গীতা, কোরআন বাইবেল ও গুরুগ্রন্থসাহিব-এ হাত রাখিয়া বলিয়াছেন – “ধর্মাবতার, হামি নির্দোষ, এই কেস-এর হামি কুছু জানে না“। এই সংবাদ শুনিয়া পূরীর ঢংকরাচার্য সি এনেন-এ বিবৃতি দিয়াছেন – “শালো, এতঅ দিনঅ ধরে মু পই পই করিয়া বলিতেছিঅ কূর্ম অবতার থিকাই প্রথিবীর জন্ম, কেউ মানে নাই –আজ বিশ্বাস হই গিলা—ময়ুরী গ তব আকাসরে মু ইন্দ্রধণু সাজিলি... !”
সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় সংকেতজ্ঞ ও লিপিবিদ্গণ একত্র হইয়া এই আরামিক লিপির বর্ণনা পড়িয়া লোকসমক্ষে যাহা প্রকাশ করিয়াছেন তাহা হইল – শ্রী আঃ আইচ এক অতীব দীর্ঘজীবী মানুষ । ইনি ১৩৩৫ খ্রীস্টাব্দে পাবনা জিলার গোপালনগরে জন্মগ্রহণ করেন । ১৩৪৩ সালে, ব্রাজিলদেশ আবিষ্কার করিয়া দেশে প্রত্যাবর্তনরত পর্তুগীজ হার্মাদ ভাস্কো দা মামা-র কবলে পড়িয়া ক্রীতদাস হিসাবে পর্তুগাল গমন করেন । পর্তুগালে পৌঁছাইয়া শ্রী আইচ মূর বিদ্রোহীদলের সহিত ভিড়িয়া মোরগ-লড়াইয়ে পারদর্শী হইয়া উঠেন । মোরগ লড়াই ও মূর্গ কারি নির্মানে তাঁহার ব্যুৎপত্তির কারণে, তিনি অচিরেই মূর নেতা শ্রী রজার মূর-এর প্রিয়পাত্র হইয়া ওঠেন, যিনি শ্রী আইচরে শস্ত্র ও টর্চার বিদ্যার অতীব আধুনিক প্রকৌশল শিখাইতে শুরু করেন । চিরউৎসুক এবং প্রখর ধীশক্তি সম্পন্ন যুবক আইচ কালে কালে অধীত টর্চার বিদ্যারে নূতন দিশা দিতে আরম্ভ করেন । তাঁহার আবিষ্কৃত টর্চারপ্রথার মধ্যে “সেগুড়েবালি”, “পাকাধানেমই”, “খেজুরেআলাপ” ও “ঘ্যানঘ্যানেনাকীকান্না” আজো প্রসিদ্ধ । পর্তুগালী, গালি-গালাজও শ্রী আইচের কল্যানে তৎকালীন জগতসভায় শ্রেষ্ট আসন লাভ করিয়াছিল বলিয়া জানা যায় । তাঁর প্রসিদ্ধি রাজসভা অব্দি পহুঁচাইলে, সম্রাট চতুর্থ আফন্সো তাঁহারে বিশেষ পারিষদ হিসাবে সম্মানদান করেন । ১৩৫৭ সালে সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাট প্রথম পেড্রোর সহিত টর্চার বিদ্যার প্রয়োগ নিয়া বিস্তারিত গন্ডগোল শুরু হয় । সম্রাট প্রথম পেড্রো, ক্রুর ও কুটিল বলিয়া পরিচিত ছিলেন এবং যাতনাবিদ্যায় নিজেরে শ্রী আইচের গুরুস্থানীয় বলিয়া মনে করিতেন । অবশেষে তিতিবিরক্ত হইয়া শ্রী আইচ ১৩৬১ সালে ক্যুবা দেশে গিয়া সিগারের ব্যবসায় খুলিয়া বসেন । ১৪৮০ খ্রীস্টাব্দে কাস্তিলের রাজা দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ ও রানী প্রথম ইসাবেলা ইতিহাসবিখ্যাত “স্পেনিয় ইঙ্কুইজিশান”-এর পত্তন করেন—যাঁহার প্রভাবে ধরাধাম হইতে ডায়নোসর বংশ লোপ পায় । কথিত, বংশপরম্পরায় পর্তুগালী রাজবংশের শত্রু কাস্তিলের রাজপরিবার, ক্যুবা হইতে করজোড়ে শ্রী আইচরে আমন্ত্রন করেন ও শ্রী আইচ “ইঙ্কুইজিশানের” মূখ্যপরামর্শদাতা হিসাবে কার্যভার গ্রহণ করেন । ১৫১১ সালে নব্যবীর হার্নান কোরতেজ-এর অনুরোধে দিয়েগো ভালাজকুয়েজ ডি কুয়েলা-র দলের সাথে শ্রী আইচ ক্যুবা বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন । তাহার অতীত ক্যুবাবাস ও ব্যবসায়-এর কারণে তিনি স্পেনীয় আর্মাডার এক অতি মূল্যবান পরামর্শদাতা ছিলেন—যাঁহার পরামর্শ ব্যতীত ক্যুবাজয় স্পেনীয় সেনার জন্য অধরা স্বপ্নই হইয়া থাকিত । এই সময়কালে বৃদ্ধ শ্রী আইচের সহিত নব্যবীর কোর্তেজ-এর সখ্যতা গাঢ় হয় ও ১৫১৮ সালে মেহিকোর আজটেক বিজয় অভিযানে তিনি কোর্তেজের সহিত গমন করেন । দূর্ভাগ্যবশতঃ “তাবাস্কো’ নামক দ্বীপে প্রসিদ্ধ সরাই খানা “টাকো বেল”-এ তাবাস্কোর বিখ্যাত সস সহযোগে তরতিয়া খাইতে গিয়া গ্যাসট্রিক আলসারে তাঁহার মৃত্যু হয় । আজিকার যন্ত্রণাপ্রসূত শব্দাবলী “উঃ আঃ আউচ”-এর উদ্ভব যে শ্রী আঃ আইচ-এর নাম হইতেই হইয়াছিল এ বিষয়েও কূর্মখোলে বিশদ উল্লেখ রহিয়াছে ।
No comments:
Post a Comment